বিলেতে বাংলা সাহিত্য সাময়িকী

29/08/2009 03:01

বিলেতে বাংলা সাহিত্য সাময়িকী

 
বিলেতে বাংলা সাহিত্য সাময়িকী
- দিলু নাসের

 

বিলেতে প্রথম সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯১৬ সালে। এর ধারাবাহিকতায় নিয়মিত অনিয়মিত ভাবেএ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে অসংখ্য বাংলা কাগজ। কিন্তু বাঙালীর হাজার বছরের সমৃদ্ধ সাহিত্য কবে কখন কিভাবে এদেশে প্রকাশিত হয়েছে এর সার্বিক কোন ইতিহাস আমাদের জানা নেই। তবে ধরে নেয়া যেতে পারে এই ভিন্ন  দেশে  ভিন্ন মাটিতে প্রথম বাংলা বর্ণমালা চাষের সময় থেকেই হয়তো সাহিত্যের প্রকাশ শুরু হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল বিশ্বনন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিলেতে বসেই বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন তার অসংখ্য কালজয়ী সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথেরও আগে আরেক খ্যাত নামা কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তও কবিতা লিখেছেন বিলেতে বসে। হয়তো তার কোন বিখ্যাত কবিতার জন্ম এখানেই হয়েছে। সে সময় নিশ্চয়ই কবিতা প্রকাশের কোন না কোন মাধ্যম ছিলো এখানে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিলেতে অনেক বাঙালি আসতে শুরু করেন। বিশেষ করে পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে বেশ কিছু সৃজনশীল মানুষের আগমন ঘটে এদেশে। বাঙালির ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধিকার আন্দোলনের সময় এখান থেকেই প্রকাশিত হয় বেশ কয়েকটি বাংলা কাগজ। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলো তাছাদ্দুক আহমদ সম্পাদিক দেশের ডাক। ১৯৫৪ সালের একুশে ফেব্র“য়ারিতে প্রথম প্রকাশিত এই কাগজের বিভিন্ন সংখ্যায় বেশ কিছু রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।
বাঙালির হিরন্ময় মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডন থেকে প্রকাশিত কাগজগুলোতে কিছু কিছু কবিতা, গল্পের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে সেসময় পত্রিকা প্রকাশে অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হতো সম্পাদক এবং প্রকাশদের।  এছাড়াও যেমন ছিলো লেখকের অভাব তেমনি ছিলো স্থান সংকুলতা।
বিলেতের প্রথম সাহিত্যের কাগজ ‘সাগর পারে’ হিরন্ময় ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে। এই কাগজের পর পর তিন সংখ্যার প্রচ্ছদশিল্পী ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাশিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলী। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এই কাগজটি নিয়মিত ও অনিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এতে লিখেছেন পশ্চিম বাংলার খ্যাতনামা লেখক এবং বিলেতের অনেক কবি সাহিত্যিকরা।
সাপ্তাহিক জনমত বিলেতের দীর্ঘস্থায়ী প্রাচীন বাংলা কাগজ। সাহিত্য প্রচার এবং প্রকাশে জনমত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন সময়ে এতে কাজ করেছেন অনেক কবি সাহিত্যিক এবং সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। তাদের ঐকান্তিক চেষ্টায় ভিত্তি স্থাপন হয়েছে বিলেতে নিয়মিত বাংলা সাহিত্য প্রকাশের। বিশিষ্ট কবি এবং সাহিত্যিক কাদের মাহমুদ জনমতের সাথে যুক্ত ছিলেন সত্তর দশকের শেষের দিক থেকে আশির মাঝামাঝি পর্যন্ত। আশির দশকের শুরু থেকে তার সম্পাদনায়  জনমতে শুরু হয় নিয়মিত সাহিত্য পাতা প্রকাশের।  মাহবুব রশীদ ও রুনু’র চমৎকার অলংকরণে জনমতে প্রকাশিত হয় ধারাবাহিক উপন্যাস, গল্প, কবিতা এবং ছড়া। আর এসব প্রকাশনার মাধ্যমে বাড়তে থাকে সৃষ্টিশীল  লেখকের সংখ্যা। শুরুতে আশির দশকই ছিলো বিলেতের বাংলা সাহিত্যের বীজবপনের প্রথম সোপান। সেসময় বাংলা সাহিত্যকে বুকে ধারণ করে বিলেতে আসেন- বেশ কিছু প্রতিভাবান তরুন লেখক এবং তাদের হাত ধরেই সেসময় গড়ে উঠে সাহিত্যের প্রথম আন্দোলন; গঠন করা হয় বিলেতে বাঙালি লেখকদের প্রথম সাহিত্যের সংগঠন ‘বাংলা সাহিত্য পরিষদ’।
সেসময় সাপ্তাহিক সুরমার তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইয়াং রাইটার্স গ্র“প’ এবং এই শিরোনামে প্রকাশিত হতে থাকে একঝাক নবীন লেখকদের সৃজনশীল লেখা। এই সব লেখা লেখকদের মাধ্যমে বিলেতে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিলেতে আসেন সমকালীন বাংলা কবিতার কালোত্তীর্ণ লেখক গণমানুষের কবি দিলওয়ার। তার এই উপস্থিতিকে ঘিরে সরব হয় বিলেতের সাহিত্যাঙ্গন। সংগঠিত হন নবীন-প্রবীণ লেখকেরা এবং নতুন পুরাতনের মধ্যে সৃষ্টি হয়  সেতুবন্ধন।
‘সুরমা ইয়াং রাইটার্স গ্র“প’ এর নিয়মিত লেখা প্রকাশ এবং নবীন লেখকদের উৎসাহ প্রদানের কারণে ১৯৮৭ সালে পূর্ব লন্ডনের টয়েনবি হলে অনুষ্ঠিত হয়  লন্ডনের প্রথম বাংলা কবিতা উৎসব। জাগরণ নামে আরেকটি সাপ্তাহিকীতে ছিলো চমৎকার সাহিত্যের পাতা। প্রতি সপ্তাহে জাগরনের পাতায় যাদের সরব উপস্থিতি ছিলো তারা হলেন- শিকদার কামাল, আতাউর রহমান মিলাদ, সৈয়দ শাহিন, ফারুক আহমেদ রনি, আব্দুল মুকতার মুকিত, দিলু নাসেরসহ  আরো অনেকে।
সেসময় বাংলাদেশ থেকে আসা একঝাঁক কবিতা কর্মীর প্রাণের পত্রিকা ছিলো জাগরণ। টাইপ সেটিং এবং প্রকাশনার অনেক অসুবিধা থাকা সত্বেও জাগরনের কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে দুটি পাতা বরাদ্ধ রাখতেন সাহিত্যের জন্য। দেশে তখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। দেশের সকল কবি সাহিত্যিকেরা, তখন সেই আন্দোলনের সাথে জড়িত বিলেতে এসেও এর ঢেউ লাগে। প্রবাসী কবিরা জাগরণের পাতায় তাদের প্রতিবাদী শব্দ চয়নের মাধ্যমে দূর থেকে যোগ দেন সেই আন্দোলনে। ’৮৭ মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক নতুন দিন, প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ছিলেন সেই পত্রিকার প্রধান চালক। তার তত্ত্বাবধানে শুরু থেকে নতুন দিনে সাহিত্যের পাতা ছিলো উজ্জ্বল। বিলেতের লেখকদের পাশাপাশি প্রকাশিত হতো বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখকদের সেরা লেখা। শামসুর রাহমান, সৈয়দ সামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণসহ বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের সমকালীন লেখার সাথে পরিচিত হন বিলেতের পাঠকরা।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক গাজীউল হাসান খানের সম্পাদনায় প্রকাশিত দেশ বার্তায়ও সেসময় প্রকাশিত হতো সৃজনশীল সাহিত্যের পাতা। ডাঃ মাসুদ আহমদ লিখতেন ধারাবাহিক রচনা ‘চন্দ্রবিন্দু’। ছাপা হতো কবিতা, গল্প এবং গাজীউল হাসান খানের বিলেতের পটভূমিকায় রচিত ধারাবাহিক উপন্যাস ‘জনপদ’। এসব লেখা প্রকাশ এবং লেখকদের সরব উপস্থিতির কারণে বিলেতে বাংলা সাহিত্যাঙ্গন চাঙ্গা হয়ে উঠে। যার ফলশ্র“তিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বাংলা সাহিত্য সম্মেলন এবং বই মেলা। সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ থেকে শামসুর রাহমান এবং পশ্চিম বাংলা সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়। আর বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল বিলেতকে আখ্যায়িত করেন বাংলা সাহিত্যের তৃতীয় চারণ ভূমি হিসেবে। পরবর্তী কালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সম্পাদনায় আরো দুটি সাপ্তাহিকীর জন্ম হয় নতুন দেশ এবং পূর্ব দেশ। এদুটিতে আমি নিজে নিয়মিত সাহিত্যের পাতা প্রকাশের নিয়মিত চেষ্টা করেছি। সাপ্তাহিক পত্রিকা ছাড়াও বিলেতে সেসময় প্রকাশিত হয় নিয়মিত অনিয়মিত ভাবে বেশ কয়েকটি সাহিত্যের কাগজ। কবি মাসুদ আহমদের সম্পাদনায় বার্মিংহাম থেকে প্রকাশিত হয় একটি চমৎকার কাগজ। যার উদ্যোগে ১৯৮৭সালে সামারে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য সম্মেলন। এ সম্মেলন ছিলো বিলেতের কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলা। যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত আরেক দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য সাময়িকীর নাম প্রবাসী সমাচার। সম্পাদনায় ছিলেন সুকুমার মজুমদার। এ সাময়িকী পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের সাথে বিলেতের লেখদের যোগসূত্র হিসেবে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৯ সালে এবং ১৯৯৩ পর্যন্ত পাক্ষিক হিসেবে প্রকাশিত হয়।
‘সাহিত্য হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৮৯সালের ফেব্র“য়ারিতে প্রকাশিত হয় সংহতি সাহিত্য সংস্থার সাহিত্যের কাগজ ‘সংহতি’। কবি ফারুক আহমদ রনি এবং আবু তাহেরের যৌথ সম্পদনায় এই কাগজটি সম্পূর্ণ ছিলো সাহিত্যের। এতে বিলেতের লেখক ছাড়াও বাংলাদেশের লেখকদের লেখা ছাপা হতো। বিভিন্ন কারনে কাগজটির আয়ূস্কাল ছিলো অল্প। তবে ১৯৯৮সালে প্রকাশিত হয় ফারুক আহমদ রনির সম্পাদিত সাহিত্য এবং সংস্কৃতির একটি চমৎকার কাগজ ‘শিকড়’। শিকড়ই বিলেতের প্রথম এবং একমাত্র কাগজ। এতে স্থান পেতো বিলেত প্রবাসী লেখকদের লেখা। এছাড়াও বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা। শিকড়ে যেমন ছিলো উন্নত লেখা তেমনি আকর্ষনীয় প্রচ্ছদের জন্য কাগজটি দ্রুত দেশে-বিদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করে। শিকড় বিলেতের প্রথম কাগজ যা ওয়েব সাইডের মাধ্যমে বিলেতের বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ববাঙালির কাছে পৌছে দেয়।
১৯৮৮ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর বাংলা সাহিত্য পরিষদ প্রতিবার ২১শে ফেব্র“য়ারিতে প্রকাশ করে ‘এখানে একুশ’ নামে সাহিত্য স্মরণিকা। আহমেদ ময়েজ এবং দিলু নাসেরের সম্পাদনায় ১৯৯৯ সাল থেকে পরপর কয়েক বছর প্রতি ২১শে প্রকাশিত হয় বিলেতের কবিদের হাতের লেখা চমৎকার কবিতার সংকলন ‘একুশের সাক্ষর’। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে অনেক উন্নতমানের সাহিত্যের ছোট কাগজ। যা দিনে দিনে এখানের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। নব্বইয়ের পর থেকে বিলেতে প্রকাশিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিকী। এগুলোতে মাঝে মাঝে কিছু গল্প কবিতা প্রকাশিত হয়। তবে খুব অগোছালোভাবে সাহিত্যের পাতাগুলো দেখলেই চোখে ভাসে অযতেœর ছাপ। বিভিন্ন বিশেষ দিন যেমন একুশে ফেব্র“য়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ঈদ, নববর্ষের কাগজগুলোতে কর্মরত ডিজাইনাররা যত্রতত্র কিছু গল্প কবিতা ছেপে নিজেদেরকে বাংলা সাহিত্যের সেবক হিসেবে জাহির করেন। ১৯৯৯ থেকে ছড়াকার-কবি আহমেদ ময়েজের হাত ধরে বিলেতের সাপ্তাহিক কাগজের সাহিত্যপাতায় আসে নতুনত্বের ছোঁয়া। তিনি বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি কাগজের সাথে জড়িত ছিলেন এবং তার মাধ্যমে সংযোজিত হয় কাগজ গুলোতে সাময়িকীর। প্রথমে সাপ্তাহিক সিলেটের ডাকে এবং পরে সুরমায় সৃজনশীল সাহিত্য পাতা প্রকাশ করেন। এরপর নতুন দিনেও আহমেদ ময়েজ প্রকাশ করেন সাধ্যানুযায়ী উন্নত সাহিত্য পাতা। অন্যান্য কাগজগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক পত্রিকায় দেশের এবং বিলেতের লেখকদের লেখা যতœসহকারে ছাপা হয়। তবে নিয়মিত ভাবে সাহিত্য প্রকাশের কোন উদ্যোগ নেই। গত কয়েক বছর ধরে এখানে নিয়মিতভাবে যে কাগজটি সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশিত হয় সেটি হচ্ছে সাপ্তাহিক সুরমা। নিদ্বিধায় বাংলাদেশের অনেক সাহিত্য সাময়িকীর চেয়েও অনেক উন্নত, পরিচ্ছন্ন এবং সুখপাঠ্য। সুরমার এই সুবিনস্ত পাতা দেশে বিদেশে প্রশংসিত।
সুরমার সাময়িকীর মতো অন্যান্য কাগজগুলোও যদি নিয়মিত মানসম্পন্ন সাহিত্যপাতা প্রকাশের উদ্যোগ নেন তাহলে বিলেতের বাংলা সাহিত্যের চাষ আরো বেগবান হবে।

সাহিত্যের ছোট কাগজ
সাপ্তাহিক পত্র-পত্রিকা ছাড়াও গত কয়েকবছর ধরে বিলেত থেকে নিয়মিত অনিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি বর্ণাঢ্য সাহিত্যের কাগজ। যারমধ্যে  শব্দপাঠ,  ভূমিজ, ধীশ্বর, আদি, কাকতাড়ুয়া এবং কবিতা অন্যতম। এসব কাগজের মধ্যে বিলেতের লেখকের চেয়ে বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গের লেখকের লেখার সংখ্যা বেশী। সাম্প্রতিককালে বিলেতে বাঙালি লেখা এবং লেখকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এদেশ থেকে প্রকাশিত ঝকঝকে সাহিত্যের কাগজগুলোতে অনেক লেখকের অনুপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ‘শব্দপাঠ’ এবং ‘কবিতা’ কাগজ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। বাকীগুলো প্রথম সংখ্যাতেই সীমাবদ্ধ। আশাকরি আগামীতে এসব কাগজগুলো নিয়মিত প্রকাশিত হবে এবং বাংলা সাহিত্যের তৃতীয় চারণ ভূমি বলে খ্যাত বিলেতের বাংলা সাহিত্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে।
আরো দুটি সাহিত্য উল্লেখযোগ্য সাময়িকী বিলেত থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। একটি হচ্ছে তৃতীয় ধারা অন্যটি হচ্ছে কৃষ্টি। এপর্যন্ত পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয়ধারা। সাহিত্য নির্ভর এই কাগজটি সম্পাদনায় আছেন তরুণ লেখক আকাশ ইসহাক। তৃতীয়ধারার প্রথম সংখ্যায় সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন সাঈম চৌধুরীও। তৃতীয় ধারার প্রত্যেকটি সংখ্যা দেশ বিদেশে সাহিত্যবোদ্ধাদের দৃষ্টি বিশেষ ভাবে কেড়ে নিয়েছে। এতে বিলেতের লেখকদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সদ্য আগত শক্তিমান লেখকের লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। সেসব লেখা এবং প্রকাশনা দিনদিন বিলেতের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করছে।